জমিদার সভা ও ভারত সভা জমিদার সভা এবং ভারত সভা উভয়ই মূলত রাজনৈতিক সংগঠন। তবে এই সংগঠন দুটি গড়ে তোলার উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে এদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জমিদার সভা ও ভারত সভার পার্থক্য : ১) জমিদার সভা হল ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠন, যা ১৮৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে ভারত সভা তৈরি হয় ১৮৭৬ সালে। ২) জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয় দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে এবং রাজা রাধাকান্ত দেব-এর সভাপতিত্বে। কিন্তু ভারত সভা প্রতিষ্ঠিত হয় মূলত সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রমুখের সহযোগিতায়। ৩) জমিদার সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করা। অন্যদিকে ভারত সভার উদ্দেশ্য ছিল আপামর ভারতীয়দের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও স্বার্থ রক্ষা করা।
অথবা টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য, ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:- ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে জমি তৈরি করে চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। গ) সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে