শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি অংশ কেন মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭) বিরোধিতা করেছিল?
শিক্ষিত বাঙালি সমাজ মহাবিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল কেন? |
শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি অংশের মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭ খ্রিঃ) বিরোধিতা করার পিছনে যুক্তি ছিল—
- ১) সামন্ততান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ভয় : শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি অংশ মনে করেছিল যে, বিদ্রোহিরা সফল হলে ভারতে মধ্যযুগীয় সামন্ততান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ইংরেজরা যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেছিল তা ব্যহত হবে।
- ২) চাকরি হারাবার ভয় : শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি অংশ ইংরেজ সরকারের অধীনে কর্মরত ছিল। বিদ্রোহিরা সফল হলে তাদের কাজ হারাবার আশঙ্কায় তারা মহাবিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল।
- ৩) পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যাহত হবার ভয় : উনিশ শতকের বাংলা তথা ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চার প্রসার ব্যহত হতে পারে, এই আশঙ্কায় শিক্ষিত বাঙালি সমাজ এই বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল।
প্রকৃতপক্ষে বিদ্রোহীদের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের বিরূপ মনোভাব এবং ইংরেজ শাসকদের প্রতি সহানুভূতিশীল মানসিকতার কারণেই তাঁরা এই বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল।
----------xx--------
এই প্রশ্নটি অন্য যেভাবে আসতে পারে :
- বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণি মহাবিদ্রোহের বিরোধিতা করে করেছিল কেন?
- শিক্ষিত বাঙালি কর্তৃক ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের বিরোধিতার কারণ কি ছিল?
- কোন কোন যুক্তিতে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি মহাবিদ্রোহকে সমর্থন করেননি?
মহাবিদ্রোহ সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন :
প্রশ্নের মান - ২ (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন)
- মহারানীর ঘোষণাপত্রের (১৮৫৮) প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল?
- মঙ্গল পান্ডে স্মরনীয় কেন?
- ১৮৫৮ সালের মহারানীর ঘোষণাপত্রের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
- মহারানীর ঘোষণাপত্রের মূল বক্তব্য কী ছিল?
- ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহকে 'প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ' বলে অভিহিত করেন কে এবং কেন?
প্রশ্নের মান - ৪ (বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন)
- মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
- শিক্ষিত বাঙালি সমাজ মহাবিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল কেন?
- ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ সম্পর্কে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের মনোভাব কেমন ছিল?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন