সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তার কোন দিকটি শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছিল?

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা।  শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, বিচ্ছিন্নতা নয়, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার ভাবনা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করে। প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় : রবীন্দ্রনাথ মনে করেন, প্রকৃত শিক্ষা প্রকৃতির সঙ্গে মানুষকে একাত্ম করে দেয়। ফলে মানুষ দ্বন্দ্ব ভুলে একাত্মতা প্রকাশ করে। এইভাবে প্রকৃতি, মানুষ ও শি

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাগুলি লেখো।

    ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাগুলি : বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা অনেক। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা: ১) তথ্য সংগ্রহ সহজ :  অতি সহজে ঘরে বসে দুনিয়ার প্রায় যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ২) তথ্য সংগ্রহ দ্রুত হয় :  ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত খুঁজে বের করা যায়। ৩)  তথ্য সংগ্রহে স্বল্প ব্যয় :  প্রচুর অর্থ ব্যয় না করে বই না কিনে অতি সামান্য অর্থের বিনিময় ডাটা ব্যবহার ওরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ৪) পৃথিবীর বিখ্যাত লাইব্রেরী ব্যবহার :  ঘরে বসেই সারা পৃথিবীর অনলাইন লাইব্রেরী থেকে দুষ্প্রাপ্য মূল গ্রন্থ কিংবা রিপোর্ট সংগ্রহ করা যায়। তবে সবকিছুর মত ইন্টারনেট ব্যবস্থারও সুবিধা-অসুবিধা দুই-ই আছে। তাই অসুবিধার বিষয়ে সচেতন থেকে এই ব্যবস্থার ব্যবহার ইতিহাসচর্চার পক্ষে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারে - একথা নিসন্দেহে বলা যায়। ।  -----------শেষ-------------- বিকল্প প্রশ্ন : ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন : প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ১) ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব লেখো।  ২) আ

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাগুলি লেখো।

  ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাগুলি : বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা অনেক। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা: ১) তথ্য সংগ্রহ সহজ :  অতি সহজে ঘরে বসে দুনিয়ার প্রায় যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ২) তথ্য সংগ্রহ দ্রুত হয় :  ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত খুঁজে বের করা যায়। ৩)  তথ্য সংগ্রহে স্বল্প ব্যয় :  প্রচুর অর্থ ব্যয় না করে বই না কিনে অতি সামান্য অর্থের বিনিময় ডাটা ব্যবহার ওরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ৪) পৃথিবীর বিখ্যাত লাইব্রেরী ব্যবহার :  ঘরে বসেই সারা পৃথিবীর অনলাইন লাইব্রেরী থেকে দুষ্প্রাপ্য মূল গ্রন্থ কিংবা রিপোর্ট সংগ্রহ করা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা : উপরোক্ত সুবিধার সত্বেও ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছু অসুবিধাও আছে :  ১) যথার্থতা যাচাই করা কঠিন,  ২) বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা,  ৩) তথ্য চুরি হওয়ার ভয়,  ৪) সাম্প্রতিকতম ও দুর্মূল্য তথ্য সহজলভ্য নয় ইত্যাদি। সুতরাং সবকিছুর মত ইন্টারনেট ব্যবস্থারও সুবিধা-অসুবিধা দুই-ই আছে। তাই অসুবিধার বিষয়ে সচেতন থেকে এই ব্যবস্থা

ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখ।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাগুলি ও অসুবিধা বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা অনেক। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা: ১) তথ্য সংগ্রহ সহজ :  অতি সহজে ঘরে বসে দুনিয়ার প্রায় যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ২) তথ্য সংগ্রহ দ্রুত হয় : ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত খুঁজে বের করা যায়। ৩)  তথ্য সংগ্রহে স্বল্প ব্যয় :  প্রচুর অর্থ ব্যয় না করে বই না কিনে অতি সামান্য অর্থের বিনিময় ডাটা ব্যবহার ওরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ৪) পৃথিবীর বিখ্যাত লাইব্রেরী ব্যবহার : ঘরে বসেই সারা পৃথিবীর অনলাইন লাইব্রেরী থেকে দুষ্প্রাপ্য মূল গ্রন্থ কিংবা রিপোর্ট সংগ্রহ করা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা : উপরোক্ত সুবিধার সত্বেও ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছু অসুবিধাও আছে। ১) যথার্থতা যাচাই করা কঠিন :  ইন্টারনেট থেকে নেওয়া তথ্যগুলি কতটা যথার্থ নির্ভরযোগ্য তা যাচাই করা খুবই কঠিন। কেননা ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিন সত্য মিথ্যা যাচাই করার ক্ষমতা রাখেনা। ২) বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা :  ফলে যে কেউ কোন অসত্য বা মন গড়া

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী স্মরণীয় কেন?

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন একাধারে একজন সাহিত্যিক চিত্রকর সঙ্গীতজ্ঞ বাদ্যযন্ত্র বাদক এবং প্রখ্যাত মুদ্রণ শিল্পী। সেই সঙ্গে একজন সফল উদ্যোগপতি। হাফটোন ব্লক উদ্ভাবন : তিনি ভারতে প্রথম হাফটোন ব্লক নির্মাণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন এবং  'রঙিন ব্লক' তৈরি ও তার ব্যবহারের সূচনা করেন। ইউরোপের এনগ্রেভিং মুদ্রণ পদ্ধতির সংস্কার করে তাকে আরও উন্নত করে তোলেন। তাঁর গবেষণায় উদ্ভাবিত হয় স্ক্রিন এডজাস্টার যন্ত্র, ডায়াফ্রাম যন্ত্র, টিন্ট প্রসেস ইত্যাদি। ব্লক তৈরির বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশ : তিনি ব্লক তৈরির বিভিন্ন কলাকৌশল নিয়ে প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন যা ইংল্যান্ডের বিখ্যাত মুদ্রণ বিষয়ক পত্রিকা ‛পেনরোজ অ্যানুয়াল ভল্যুম'-এ প্রকাশিত হয়। ছাপাখানা তৈরিতে উদ্যোগ : ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোর মুদ্রণ ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করেন এবং গড়ে তোলেন ‛ইউ এন রায় এন্ড সন্স‘ নামে একটি ছাপাখানা যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বাধিক নিখুঁত মুদ্রণযন্ত্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল।  এভাবে, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও তাঁর নেতৃত্বে ইউ এন রায় এণ্ড সন্স বাংলা তথা ভারতের মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় নামে পরিণত হয় এবং বাংলার প্

গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে উপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছেন?

গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে উপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছেন? বাংলা চিত্রশিল্প ও কার্টুন শিল্পের (ব্যঙ্গচিত্র) ক্ষেত্রে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক সমাজের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর  বিরূপ বজ্র ,  অদ্ভুত লোক ,  নবহুল্লোড়  প্রভৃতি গ্রন্থে অংকিত ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তিনি ঔনইবেশিক বাঙালি সমাজের ইংরেজ প্রীতি, বাবু কালচার, ধনী ও অভিজাত শ্রেণির 'সাহেব' সাজার চেষ্টার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি  'খল ব্রাহ্মণ'  চিত্রের মাধ্যমে দেখিয়েছেন একজন ব্রাহ্মণ কীভাবে ধর্মের প্রতি অনুরাগের পরিবর্তে মাংস, মদ ও মহিলায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। ' প্রচন্ড মমতায়'  তিনি তুলে ধরেছেন ব্রিটিশের নিপীড়ন।  'জাঁতাসুর'  চিত্রের মাধ্যমে বাঙালির ফুটবলপ্রীতি ও মোহনবাগানের ১৯১১ সালের আইএফএ শিল্ড জেতাকে কেন্দ্র করে যে স্বদেশ প্রেম জেগে উঠেছিল তার দুর্বলতাকে নির্মোহ চোখে তুলে ধরেছিলেন।  তাঁর অঙ্কিত ব্যঙ্গচিত্র সে সময় বাঙালিদের মধ্যে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। রসিক বাঙালি ব্যঙ্গচিত্রের রসাস্বাদনের  সাথে সাথে ঔপনিবেশিক সমাজব্যবস্থার কুফল সম্বন্ধ

ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল?

  ইলবার্ট বিল আন্দোলন ও তার  তাৎপর্য কী ছিল?  উত্তর শীঘ্রই আপলোড হবে .... অপেক্ষা করো। অন্যান্য প্রশ্ন :  সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ২  (দুই-তিন বাক্যে উত্তর) ১)  ইলবার্ট বিল কী? ২)  ইলবার্ট বিলের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? ৩)  ইলবার্ট বিলের গুরুত্ব কীছিল? ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮   (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ১)  ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো।

ইলবার্ট বিল, এই বিলের প্রতিক্রিয়া ও  গুরুত্ব : লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত কোন ইংরেজের  বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই বিল অনুসারে ভারতীয় বিচারকরা ইংরেজদের বিচার করার অধিকার পায়। এই খসড়া বিলই  ইলবার্ট বিল  (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ইলবার্ট বিল : লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে ভারতীয় বিচারকরা অভিযুক্ত কোন ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট যে খসড়া বিল রচনা করেন তা  ইলবার্ট বিল  (১৮৮৩) নামে পরিচিত। প্রতিক্রিয়া : এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।  এই বিলের সমর্থনে (পক্ষে) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতসভা তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। অন্যদিকে শ্বেতাঙ্গ ইংরেজরা এই বিলের বিরুদ্ধে (বিপক্ষে) ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। তাদের আন্দোলন

টীকা লেখো : জমিদার সভা।

 রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জমিদার সভা : ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠনের নাম হল ' জমিদার সভা'   বা ' ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি' । দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, রাজা রাধকান্ত দেবের সভাপতিত্বে এবং  প্রসন্নকুমার ঠাকুরের সম্পাদনায়   ১৮৩৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।   প্রধান উদ্দেশ্য : এই সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল: ১) বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করা, ২) ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রকে জমিদারদের স্বপক্ষে আনা, ৩) ভারতের সর্বোচ্চ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসার ঘটানো, ৪) পুলিশ বিচার ও রাজস্ব বিভাগের সংস্কার সাধন করা। সদস্যমণ্ডলী : এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন রামকমল সেন,ভবনীচরণ মিত্র প্রমুখ। বেসরকারি ব্যবসা-বাণিজ্যে নিযুক্ত ব্রিটিশরা এই সবার সদস্য হতে পারলেও সাধারণ মানুষের সেই সুযোগ ছিলো না।  রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্মপ্রকাশ : একটি বড়ো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্মপ্রকাশ এবং ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের মাধ্যমে ভারতীয়দের অভাব-অভিযোগ ব্রিটিশ সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়ে তার সমাধান করার উদ্দেশ্যে ১৮৫১ সালে লন্ডনের 'ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সো

আনন্দমঠ উপন্যাসে সন্তানদলের মূল লক্ষ্য কী ছিল?

অনন্দমঠ উপন্যাসে সন্তানদলের মূল লক্ষ্য আঠারো শতকের বাংলার ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ও সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত বঙ্কিমচন্দ্রের ' আনন্দমঠ' উপন্যাস ও  সন্তানদলের উচ্চারিত  'বন্দেমাতরাম মন্ত্র'  জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে গভীরভাবে উদ্দীপ্ত করেছিল। সন্তানদলের মূল লক্ষ্য : সাম্রাজ্যবাদী শাসনে বাংলার মানুষ যখন শোষিত, অর্থনৈতিক অবস্থা মুহ্যমান, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন যখন দিশাহীন তখন মুক্তির পথ দেখানোর চেষ্টা করেন এই উপন্যাসের সন্তানদল নামে একটি সন্ন্যাসী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর সদস্য ভবানন্দ, জীবানন্দ, সত্যানন্দ সকলেই দেশকে 'মা' বলে অভিহিত করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন  ইংরেজদের অধীনে থেকে নিষ্কন্টক ধর্মাচরণ বা জ্ঞানলাভ নয়, পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনই তাদের মূল লক্ষ্য। গুরুত্ব : এই লক্ষ্য পূরণে সন্তানদলের সদস্য সত্যানন্দ  এই গ্রন্থে দেশমাতৃকার  অতীত ( মা যা ছিলেন ), বর্তমান ( মা যা হয়েছেন ) ও ভবিষ্যত ( মা যা হবেন ) এই তিনটি রূপ তুলে ধরে  স্বৈরাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে বিদ্রোহের আহ্বান জানান। তাঁর বক্তব্য -   'আমরা অন্য মা মানি না .... জন্মভূমিই জননী'  এবং 

আনন্দমঠ উপন্যাস কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল?

অনন্দমঠ উপন্যাসে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা : আঠারো শতকের বাংলার ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ও সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত বঙ্কিমচন্দ্রের ' আনন্দমঠ' উপন্যাসটি  জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে গভীরভাবে উদ্দীপ্ত করেছিল। ১) আনন্দমঠ-এর সন্তানদলের উচ্চারিত  'বন্দেমাতরাম মন্ত্র'  দেশবাসীকে মুক্তি আন্দোলনে যোগ দিতে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।  যদু ভট্ট  সুরারোপিত এই গান ক্রমে বিপ্লবীদের কাছে  জাতীয় সংগীতে পরিণত  হয়। ২) এই গ্রন্থে দেশমাতৃকার  অতীত ( মা যা ছিলেন ), বর্তমান ( মা যা হয়েছেন ) ও ভবিষ্যত ( মা যা হবেন ) মূর্তিগুলি তুলে ধরে  বঙ্কিমচন্দ্র স্বৈরাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে বিদ্রোহের আহ্বান জানান। ৩) আনন্দমঠ-এর সন্তানদলের সদস্য  সত্যানন্দের বক্তব্য ,  'আমরা অন্য মা মানি না .... জন্মভূমিই জননী' এবং  'দেশমাতা হলেন মা, দেশপ্রেম হল ধর্ম, এবং দেশসেবা হল পূজা' - ভারতের শিক্ষিত যুব সমাজকে, বিশেষ করে, কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দের একাংশকে অনুপ্রাণিত করে। এইভাবে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসটি সংগ্রামী জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারার প্রচারে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। এই কারণে অনন্দমঠকে 

আনন্দমঠ উপন্যাসটি কীভাবে জাতীয় চেতনার প্রসার ঘটিয়েছিল?

জাতীয় চেতনার প্রসারে  আনন্দমঠ উপন্যাস : উনিশ শতকের ভারতীয়় জাতীয়তাবোধের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেছেছিলেন বিভিন্ন লেখক ও সাহিত্যিক। এ বিষয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর  'আনন্দমঠ' উপন্যাসের  অবদান অবিস্মরণীয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'আনন্দমঠ'-এর অবদান : আঠারো শতকের বাংলার ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ও সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত বঙ্কিমচন্দ্রের ' আনন্দমঠ' উপন্যাসটি  প্রগাঢ় প্রভাব ফেলেছিল জাতীয়তাবাদীদের ওপর : ১) আনন্দমঠ-এর সন্তানদলের উচ্চারিত 'বন্দেমাতরাম মন্ত্র' দেশবাসীকে মুক্তি আন্দোলনে যোগ দিতে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। যদু ভট্ট সুরারোপিত এই গান ক্রমে বিপ্লবীদের কাছে জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়। ২) এই গ্রন্থে দেশমাতৃকার অতীত ( মা যা ছিলেন ), বর্তমান ( মা যা হয়েছেন ) ও ভবিষ্যত ( মা যা হবেন ) মূর্তিগুলি তুলে ধরে বঙ্কিমচন্দ্র স্বৈরাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে বিদ্রোহের আহ্বান জানান। ৩) এই মূর্তির মাধ্যমে শোষণ মুক্তা, কল্যাণীয়া ও জগদ্ধাত্রী দেশমাতৃকার মূর্তিকে তুলে ধরে তিনি জাতিকে শুনিয়েছেন, 'দেশমাতা হলেন মা, দেশপ্রেম হল

বাংলা তথা ভারতের জাতীয়তাবোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের 'বর্তমান ভারত' গ্রন্থটি কতটা অবদান রেখেছে?

ভারতের জাতীয়তাবোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের ও  'বর্তমান ভারত' গ্রন্থ : বাংলা তথা ভারতের জাতীয়তা বোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দ  গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর লেখা   'বর্তমান ভারত'  গ্রন্থটির বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে এই কথার সমর্থন পাওয়া যায়।  'বর্তমান ভারত' গ্রন্থের বক্তব্য : সমসাময়িক ভারতের অবস্থা ও ভারতীয়দের কর্তব্য সম্পর্কিত আলোচনাকে গুরুত্বপূর্ণ করার উদ্দেশ্যে তিনি এই গ্রন্থে বৈদিক যুগ থেকে ব্রিটিশ শাসন পর্যন্ত ভারতের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস আলোচনা ও ব্যাখ্যা করেছেন। এই গ্রন্থে তিনি দেখিয়েছেন, বৈদিক যুগে ব্রাহ্মণ পুরোহিত, পরে ক্ষত্রিয় (যোদ্ধা জাতি) এবং সবশেষে বৈশ্যরা সমাজে কীভাবে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছে। সেই সঙ্গে ইতিহাসের চক্রাকার পথে বৈশ্যদের পর শূদ্রদের জাগরণ ও আধিপত্য বিস্তার অবসম্ভাবী বলে তিনি ভবিষ্যতবাণী করেছেন। তাই তাঁর মতে,  স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থই হচ্ছে  সমাজে খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং এটাই যুগের চাহিদা । আর এই কারণে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র ভারতবাসীকে 'ভাই' বলে সম্বোধন করেছেন এবং সকলকে এই কাজে এগিয়ে আসতে আহ্বান করেছেন

বর্তমান ভারত গ্রন্থ কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্দীপ্ত করেছিল?

বাংলা তথা ভারতের জাতীয়তা বোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের 'বর্তমান ভারত' গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর গ্রন্থে দেশবাসীকে পাশ্চাত্যের অনুকরণ বাদ দিয়ে ভারত মাতার মুক্তির জন্য কাজ করতে আহবান করেন। তিনি বলেন, মানুষ জন্ম থেকেই মায়ের জন্য বলি প্রদত্ত । দেশবাসীকে স্বদেশপ্রেমের আদর্শে দীক্ষিত করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বল ভাই - ভারতের মৃত্তিকা আমার স্বর্গ, ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ” । ‘বিবেকানন্দের রচনা বিপ্লবীরা রীতিমতো পাঠ করে’ - সিডিশন কমিশনের রিপোর্টে (১৯১৮) বলা এই বক্তব্যই প্রমাণ করে জাতীয়তাবাদ বিকাশে বিবেকানন্দের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই বক্তব্যের সমর্থনে মেলে অরবিন্দ ঘোষের কথায়, 'বিবেকানন্দ আমাদের জাতীয় জীবনের গঠন কর্তা' । ঐতিহাসিক আর. জি.  প্রধান এ কারণেই তাঁকে ' ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক' বলে অভিহিত করেছেন। বিকল্প প্রশ্ন : জাতীয়তাবাদী ভাবধারার বিকাশে বর্তমান ভারত গ্রন্থের গুরুত্ব। কে কাকে কেন ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক বলেছেন? বর্তমান ভারত কার লেখা? তিনি কীভাবে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ভাবধারকে উজ্জীবিত করেছেন? বাংলা তথা ভারতের জাত

জমিদার সভার ( ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি) উদ্দেশ্য কি ছিল?

জমিদার সভার ( ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি) উদ্দেশ্য : ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠনের নাম হল ' জমিদার সভা' বা ' ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি' । উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য : ১৮৩৮ সালে দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে এবং রাজা রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে  প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল:  ১) বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করা,  ২) ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রকে জমিদারদের স্বপক্ষে আনা,  ৩) ভারতের সর্বোচ্চ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসার ঘটানো,  ৪) পুলিশ বিচার ও রাজস্ব বিভাগের সংস্কার সাধন করা। গুরুত্ব বা তাৎপর্য : জমিদার সভার আবেদনের ভিত্তিতে সরকার ১০ বিঘা পর্যন্ত ব্রহ্মোত্তর জমির খাজনা করে। এই সংগঠন দীর্ঘস্থায়ী না হলেও ভারতে আধুনিক প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারার সূচনা করে। ডক্টর রাজেন্দ্রলাল মিত্র তাই জমিদার সভা কে ভারতের স্বাধীনতার অগ্রদূত বলে অভিহিত করেছেন। --------------------------- বিকল্প প্রশ্ন : ১) জমিদার সভার উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব উল্লেখ করো। ২) কারা কী উদ্দেশ্যে ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন? ৩) জমিদার সভার প্রধান লক্ষ্য কী ছিল? লক্ষ্য ক

জমিদার সভা ও ভারত সভার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো।

জমিদার সভা ও ভারত সভা  জমিদার সভা এবং ভারত সভা উভয়ই মূলত রাজনৈতিক সংগঠন। তবে এই সংগঠন দুটি গড়ে তোলার উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে এদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জমিদার সভা ও ভারত সভার পার্থক্য : ১) জমিদার সভা হল ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠন, যা ১৮৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে ভারত সভা তৈরি হয় ১৮৭৬ সালে। ২) জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয় দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে এবং রাজা রাধাকান্ত দেব-এর সভাপতিত্বে। কিন্তু ভারত সভা প্রতিষ্ঠিত হয় মূলত সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রমুখের সহযোগিতায়। ৩) জমিদার সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের স্বার্থ রক্ষা করা। অন্যদিকে ভারত সভার উদ্দেশ্য ছিল আপামর ভারতীয়দের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও স্বার্থ রক্ষা করা।

সভা সমিতির যুগ বলতে কী বোঝো?

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ জেগে ওঠে। জাতীয়তাবাদের বিকাশের শুরুতে ভারতীয়রা উপলব্ধি করে যে অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের স্বার্থ রক্ষার জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। এই প্রেক্ষাপটে উনিশ শতকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কতকগুলি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠে। এইভাবে উনিশ শতকের বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠায় এই শতককে সভা সমিতির যুগ বলে অভিহিত করা হয়। বিকল্প প্রশ্ন : ১) কে কোন সময়কে কেন 'সভা সমিতির যুগ' বলে অভিহিত করেছেন? ২) উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে 'সভা সমিতির যুগ' বলা হয় কেন?

উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে 'সভা সমিতির যুগ' বলা হয় কেন?

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ জেগে ওঠে। জাতীয়তাবাদের বিকাশের শুরুতে ভারতীয়রা উপলব্ধি করে যে, অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের স্বার্থরক্ষার জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। এই প্রেক্ষাপটে উনিশ শতকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কতকগুলি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠে। এইভাবে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে বেশ কিছু রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠায় ডক্টর অনিল শীল এই শতককে ' সভা সমিতির যুগ'  বলে অভিহিত করেছেন। বিকল্প প্রশ্ন : ১) কে কোন সময়কে কেন 'সভা সমিতির যুগ' বলে অভিহিত করেছেন?

ভারত সভা গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল?

১৮৭৬ সালে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং আনন্দমোহন বসু শিবনাথ শাস্ত্রী প্রমুখের সহযোগিতায় কলকাতায় গড়ে ওঠে 'ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন' বা 'ভারত সভা' । এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা প্রধান উদ্দেশ্য ছিল : ১) ভারতীয়দের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও স্বার্থ রক্ষা করা। ২) এই উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ভারতীয় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানো। এই দুটি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ভারত সভা কিছু নির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করে। যেমন, ১) জনমত গঠন করা, ২) রাজনৈতিক স্বার্থে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করা, ৩) হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপন করা এবং ৪) স্বল্পশিক্ষিত সাধারণ ভারতীয়দের রাজনৈতিক গণ আন্দোলনে শামিল করা। বিকল্প প্রশ্ন : ১) কে কতসালে ভারতসভা প্রতিষ্ঠা করেন? এর উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য কী ছিল? ২) কে কতসালে কেন ভারতসভা গড়ে তোলেন?

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

ইলবার্ট বিলের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

ইলবার্ট বিল : লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে ভারতীয় বিচারকরা অভিযুক্ত কোন ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট যে খসড়া বিল রচনা করেন তা  ইলবার্ট বিল  (১৮৮৩) নামে পরিচিত। প্রতিক্রিয়া : এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। এই বিলের সমর্থনে (পক্ষে) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারত সভা তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। অন্যদিকে শ্বেতাঙ্গ ইংরেজরা এই বিলের বিরুদ্ধে (বিপক্ষে) ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। তাদের আন্দোলনের চাপে পড়ে ব্রিটিশ সরকার একসময় এই বিল প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪  (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮  (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব নির্ণয় করো।

ইলবার্ট বিল : লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে ভারতীয় বিচারকরা অভিযুক্ত কোন ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট যে খসড়া বিল রচনা করেন তা ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। শ্বেতাঙ্গ ইংরেজরা এই বিলের বিরুদ্ধে (বিপক্ষে) ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুললে ব্রিটিশ সরকার একসময় এই বিলটি সংশোধন করতে বাধ্য হয়। গুরুত্ব : ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১) এই আন্দোলনের ফলে জাতীয় মর্যাদা সম্পর্কে ভারতবাসীর সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, ২) ব্রিটিশ শাসনের প্রতি বেশিরভাগ ভারতীয় মোহভঙ্গ ঘটে, ৩) এই আন্দোলন থেকে ভারতবাসী উপলব্ধি করে যে, সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলনের দ্বারাই সরকারের নীতি ও কার্যাবলীকে প্রভাবিত করা যায়, ৪) ভারতবাসী এও বুঝতে পারে যে, স্বাধীনতা লাভ করতে না পারলে ভারতবাসী প্রকৃত মর্যাদা ও নিরাপত্তা পাবেনা। অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪  (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো।

ভারতীয় অরণ্য আইন কী?

ভারতীয় অরণ্য আইন : ব্রিটিশ সরকার ১৮৬৫ সালে এক আইন বলে এদেশের অরণ্য সম্পদের উপর ভারতীয়দের অধিকার খর্ব করে অরণ্য সম্পদকে সরকারি সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসে। সরকার ঘোষণা করে যে, অরণ্যে ঘেরা যেকোনো ভূমি হলো সরকারের সম্পত্তি। ১৮৬৫ সালে পাস হওয়া এই  আইন 'ভারতীয় অরণ্য আইন' নামে পরিচিত। উদ্দেশ্য : ভারতীয় অরণ্যের ওপর ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে জারি করা এই আইনি পদক্ষেপের ফলে অরণ্যের ওপর নির্ভরশীল ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের শতসহস্র বছরের অরণ্যের অধিকার হারিয়ে প্রচন্ড দুর্দশার শিকার হয়। এবং সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায়। চুয়াড়, কোল, সাঁওতাল প্রভৃতি বিদ্রোহ তাদের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।  ---------------------------------- বিকল্প প্রশ্ন : ১) কত সালে কী উদ্দেশ্যে ভারতীয় অরণ্য আইন পাস করা হয়? এর ফল কী হয়েছিল? এই অধ্যায়ের অন্যান্য প্রশ্ন ও উত্তর : ভারতীয় অরণ্য আইন কী?   ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরা

দুদুমিঞা স্মরণীয় কেন?

দুদুমিঞা স্মরণীয় কেন? উনিশ শতকের প্রথমদিকে বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা প্রভৃতি অঞ্চলে হাজী শরীয়তুল্লাহর নেতৃত্বে যে ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা ফরাজি আন্দোলন নামে পরিচিত। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র মোহাম্মদ মহসিন  অরফে  দুদুমিঞা    এই আন্দোলনকে একটি সুসংহত রূপদান করেন এবং অচিরেই তা কৃষক আন্দোলনে রূপ নেয়। তাঁর নেতৃত্বে ধর্মীয় সংস্কারের লক্ষ্য থেকে সরে এসে ফরাজি আন্দোলন  শেষ পর্যন্ত  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল।  দুদুমিয়ার এই আন্দোলন পরবর্তীকালে বাংলা থেকে ব্রিটিশদের বিতারণে প্রেরণা যুগিয়েছিল। আর এ কারণেই তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ------------------------------------------- বিকল্প প্রশ্ন : ১) দুদুমিঞা কে ছিলেন? তিনি কী কারণে ইতিহাসে খ্যাতি লাভ করেছেন? ২) মোহম্মদ মহসিন কে ছিলেন? তিনি কী নামে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন এবং কেন? ফরাজি আন্দোলন সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন :   ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন ?   দার উল হারব এবং দারুল ইসলাম কথার অর্থ কি ? দুদুমিঞা স্মরণীয় কেন? (তুমি এখন এখানে আছো) ফরাজি আন্দোলনের ব্যর্থত

তিতুমির কে ছিলেন? তিনি কী কারণে খ্যাতি লাভ করেছেন?

  তিতুমির : বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা ছিলেন  তিতুমীর  বা  মীর নিসার আলী । তিনি বারাসাত ও বসিরহাট অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করেন এবং নিজেকে বাদশা, তাঁর সহযোগী যথাক্রমে  মঈনুদ্দিন কে প্রধানমন্ত্রী ও  গোলাম মাসুম কে সেনাপতি ঘোষণা করে নারকেলবেরিয়া গ্রামে  বাঁশের কেল্লা  তৈরি করেন এবং প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এই ঘটনা  বারাসাত বিদ্রোহ  নামে পরিচিত। বারাসাত বিদ্রোহের এবং ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলেরর নেতা হিসাবে তিনি খ্যাতি লাভ করেছেন।  অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী?   ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম'

বহুল পঠিত প্রশ্ন-উত্তর এখানে

সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো

অথবা           টীকা লেখা:- সাঁওতাল বিদ্রোহ  উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল ।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাঁওতাল বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশিক শাসন বজায় রাখার জন্য,  ব্রিটিশ সরকার যে সমস্ত ভূমি সংস্করণ করেছিল তার  প্রভাব ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।  তাই শেষ পর্যন্ত 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয় । যা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।    সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ বিহারের রাজমহল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের  শান্তিপ্রিয় সাঁওতালরা বিভিন্ন কারণে ব্রিটিশদের উপর রেগে গিয়েছিল। যা হলো নিম্নরুপ:-  ক) জমির উপর ব্রিটিশদের অধিকার :- সাঁওতালরা জঙ্গল পরিষ্কার করে  জমি তৈরি করে  চাষবাস শুরু করলে । ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের কাছে  এমন বিপুল হারে রাজস্বের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা সাঁওতালরা জমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।    খ) সাঁওতালদের সর্বস্বান্ত :- ব্রিটিশ সরকার  ভূমিরাজস্ব ছাড়াও অন্যান্য কর ও ঋণের দায়ভার সাঁওতালদের উপর চাপিয়ে দেয় । ফলে সাঁওতালরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।  গ)   সাঁওতালদের ঋণগ্রস্ত :- 50 থেকে 500 হরে

কে, কবে, কেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণ  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ সালে কলকাতায় ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’  প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ, তারা মনে করতেন, ১) ভারতীয়রা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে  স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠবে  এবং এদেশে কোম্পানির শাসন সংকটের মধ্যে পড়বে। ২) এছাড়া ভারতীয়দের  ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে  তারা ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। ৩) এই আশঙ্কা থেকেই মূলত তারা  আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিবর্তে সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করেন এবং  ধর্মভিত্তিক সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ইংরেজ রাজকর্মচারীদের ভারতীয়দের ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষিত করে  এদেশে কোম্পানির শাসনকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেন। মূলত, এই কারণেই লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ গড়ে তোলেন।

খুৎকাঠি প্রথা কী?

খুঁৎকাঠি বা কুন্তকট্টি হল এক ধরনের ভূমি ব্যবস্থা যা মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থায় জমিতে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে যৌথ মালিকানা স্বীকৃত ছিল। ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করে ব্যক্তি মালিকানা চালু করলে মুন্ডাদের জমি গুলি বহিরাগত জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনদের হাতে চলে যায়। ফলে মুন্ডারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অবশেষে ১৯০৮ সালে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মুন্ডাদের এই প্রথা (ভূমি ব্যবস্থা) ফিরিয়ে আনে। অন্যান্য প্রশ্ন : ভারতীয় অরণ্য আইন কী? ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল? বারাসাত বিদ্রোহ কী? বাঁশেরকেল্লা কী? খুৎকাঠি প্রথা কী? দাদন প্রথা কী? সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় কেন? ওয়াহাবি আন্দোলনের লক্ষ্য আদর্শ কী ছিল? ফরাজি আন্দোলন কি ধর্মীয় পুনর্জাগরণের আন্দোলন? তিতুমীর স্মরণীয় কেন? দুদুমিয়া স্মরণীয় কেন? দামিন-ই-কোহ কী? মুন্ডা বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?  নীল বিদ্রোহে হরিশচন্দ্র মুখার্জীর ভূমিকাকী ছিল? নীল বিদ্রোহে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভূমিকা কী ছিল? 'দার-উল-হারব' এবং 'দার-উল- ইসলাম' কথার অর্থ কী? নীলকররা নীল চাষীদের উপর

নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ । অতীতে ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা-মহারাজা কিংবা অভিজাতদের কথা লেখা থাকতো। বর্তমানে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখন এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক অন্তজদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথা ও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার এই ধারা  নতুন সামাজিক ইতিহাস  নামে পরিচিত।

নীল বিদ্রোহের কারণ কী? এই বিদ্রোহের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখ।

নীল বিদ্রোহ : কারণ, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব : আঠারো শতকে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব হয়। ফলে সেখানে বস্ত্র শিল্পের প্রয়োজনে নীলের চাহিদা বাড়ে। ১৮৩৩ সালে সনদ আইন এর ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হলে কোম্পানির কর্মচারিরা ব্যক্তিগতভাবে নীল চাষে নেমে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় এইসব কর্মচারীরা নীল চাষীদের উপর সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। এই শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা হাজার ১৮৫৯ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই বিদ্রোহ নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।  নীল বিদ্রোহের কারণ  (পটভূমি ) : নীল বিদ্রোহের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষকের ক্ষতি: নীল চাষের চাষের যে খরচ হতো মিল বিক্রি করে চাষির সে খরচ উঠতো না। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২) খাদ্যশস্যের অভাব:  নীল চাষ করতে গিয়ে কৃষকেরা খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজন মতো করতে পারত না। কারণ নীলকর সাহেবরা চাষীদের নীল চাষে বাধ্য করতেন। ফলে চাষির ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ৩) নীলকরদের অত্যাচার :  চাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করলে নীলকর সাহেবরা তাদের উপর নির্মম অত্যাচার। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে

ইলবার্ট বিল কি?

লর্ড রিপন ভারতে আসার আগে কোন ভারতীয় বিচারকরা কোন অভিযুক্ত ইংরেজের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করতে লর্ড রিপনের পরামর্শে তার আইন সচিব ইলবার্ট একটি বিলের খসড়া রচনা করেন। এই  খসড়া বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইংরেজ অভিযুক্তের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয়। এই খসড়া বিলই ইলবার্ট বিল (১৮৮৩) নামে পরিচিত। এই বিলের পক্ষে এবং বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, ইলবার্ট বিল আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিকল্প প্রশ্ন : কতসালে ইলবার্ট বিল পাস হয়? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? অন্যান্য প্রশ্ন : বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৪ (সাত-আট বাক্যে উত্তর)   ইলবার্ট বিল কী? এই বিলের পক্ষে বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল? ইলবার্ট বিল আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো। ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন । প্রশ্নের মান - ৮ (পনের-ষোলো বাক্যে উত্তর) ইলবার্ট বিল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের তাৎপর্য কী ছিল? 

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি আলোচনা করো:

১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি: ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে. এক পক্ষের ঐতিহাসিকরা বলেন, এটি ছিল নিছক সিপাহী বিদ্রোহ। অপরপক্ষ বলেন, এটি ছিল জাতীয় আন্দোলন। তা ছাড়াও কেউ কেউ আবার এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামন্ততান্ত্রিক প্রতিবাদ, কৃষক বিদ্রোহ, মুসলিম চক্রান্ত প্রভৃতি নানা নাম অভিহিত করেছেন। ১) সিপাহী বিদ্রোহ:   ইংরেজ ঐতিহাসিক চার্লস রেক্স, হোমস, এবং ভারতীয়দের মধ্যে কিশোরীচাঁদ মিত্র, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে নিছক সিপাহী বিদ্রোহ বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য - ক)১৮৫৭ সালের বিদ্রোফের চালিকাশক্তি ছিলেন সিপাহীরাই। তাদের অসন্তোষ থেকেই বিফ্রহের সূচনা হয়েছিল। খ) এই বিদ্রোহে ভারতীয় জাতীয় চেতনার অগ্রদূত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী যোগদান করেনি বা ভারতের সমস্ত অঞ্চলের রাজারা আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। ২) জাতীয় আন্দোলন: ঐতিহাসিক নর্টন, জন কে, কার্ল মার্কস প্রমুখ ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে যোগদান করেছিল; বিদ্রোহীরা

মানুষ, প্রকৃতি ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারা বিশ্লেষণ করো।

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন ও জীবনদর্শনের প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রকৃতি। তাঁর মতে, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় ত্রুটি হল, প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে শিক্ষার বিচ্ছিন্নতা। আর এজন্য আমাদের দেশের শিক্ষা শুধু অসম্পূর্ণই নয়, যান্ত্রিক এবং হৃদয়হীনও বটে। শিক্ষা ও তার লক্ষ্য : তাঁর মতে, শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত:প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন। এই সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতির উপযোগী, দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণের উপায় : তাঁর মতে, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন শিশুর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তার দেহ মন সুসংগঠিত করতে হয়। এটা করলেই সে পরমসত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে। লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ : শান্তিনিকেতনের ভাবনা : ১) শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা : এই কারণেই তিনি প্রাচীন তপবনের শিক্ষার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তিনিকেতন স্থাপন করেছিলেন। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রকৃতির স্নিগ্ধ ও সুশীতল পরিবেশে বসবাস করে শিক্ষা দান ও শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। ২) হিতৈষী তহবিল তৈরি : পল্লীগ্রামের মানুষের কল্যাণে এবং কৃষির উন্নতির জন্য গড়ে তোলেন হিতৈষী তহবি

শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ?

'শিক্ষার চুঁইয়ে পড়া নীতি' বলতে কী বোঝ? লর্ড বেন্টিং-এর আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলে  ১৮৩৫  সালে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব দেন যা  'মেকলে মিনিটস'  নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের স্বপক্ষে যুক্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এদেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তাদের দ্বারা তা চুইয়ে ক্রমশ সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ভারতীয়রা রুচি, মত, নৈতিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় ইংরেজদের মত হয়ে উঠবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে মেকলের নেওয়া এই নীতি   ' চুঁইয়ে পড়া নীতি'   নামে পরিচিত। 

তিন আইন কী?

 তিন আইন কী ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল ' তিন আইন'   পাস হওয়া।  ১৮৬৬ সালে কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে ব্রিটিশ সরকার উৎসাহিত হয় এবং  ১৮৭২  সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ফলে  বাল্যবিবাহ  ও  বহুবিবাহ  প্রথা নিষিদ্ধ এবং   অসবর্ণ বিবাহ  বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিবাহ সংক্রান্ত এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি এই আইন ইতিহাসে ' তিন আইন'  নামে পরিচিত।